ঢাকা, শনিবার, ১১ জানুয়ারি ২০২৫

বিএসইসির সাবেক কমিশনারকে আলহাজ টেক্সটাইলের পর্ষদ  থেকে অপসারণ

২০২৩ জুন ০৭ ০৮:১৭:৪৮
বিএসইসির সাবেক কমিশনারকে আলহাজ টেক্সটাইলের পর্ষদ  থেকে অপসারণ

সোমবার (৫ জুন) প্রতিষ্ঠানটির স্বতন্ত্র পরিচালক ও চেয়ারম্যান খন্দকার কামালুজ্জামান (সাবেক বিএসইসি কমিশনার) এবং দুই স্বতন্ত্র পরিচালক মো. জিকরুল হক এবং এএফএম আবদুল মঈনকে অপসারণ করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

প্রতিষ্ঠানটির বহিষ্কৃত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মিজানুর রহমানের মামলার প্রেক্ষিতে তাদের অপসারণ করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। একই সঙ্গে পর্ষদে নতুন তিনজন স্বতন্ত্র পরিচালক ও নিয়োগ করেছে। পরিচালকরা হলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ তারেকুজ্জামান ও নোভারটিস বাংলাদেশের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার ফাহমিদ ওয়াসিক আলী।

এছাড়াও কোম্পানির দুই পরিচালক বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটসের সিনিয়র ফ্যাকাল্টি মেম্বার মো. সেলিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সাইফুদ্দিন খান কোম্পানিতে দায়িত্ব পালন করবে। এই চার জনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ তারেকুজ্জামানকে পর্ষদের চেয়ারম্যান করা হবে।

এর আগের গত ২২ মে কোম্পানি পর্ষদ এমডি মিজানুর রহমানকে এমডি পদ থেকে বহিষ্কার করেন। তিনি কোম্পানির দ্বিতীয়তম শেয়ারধারী শেয়ারহোল্ডারহোল্ডার পরিচালকও। মিজানুর রহমান নিজ শক্তির বলে কোম্পানি সচিবকে বহিষ্কার করে।

এরপর পর্ষদ মিজানুর রহমানের জায়গায় তার শেয়ারহোল্ডার পরিচালক ও তার চাচাতো ভাই বখতিয়ার রহমানকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়।

তারপর গত ২৫ মে বহিষ্কৃত এমডি মিজানুর ঢাকার পঞ্চম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে এমডির 'অবৈধ' বদলির বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে এবং নতুন ব্যবস্থাপনাকে ব্যাংকিং লেনদেন চালিয়ে যেতে বাধা দেওয়ার জন্য একটি মামলা দায়ের করেন। তার প্রেক্ষিতে কমিশন নতুন বোর্ডকে অপসারণ করেছে।

১৯৮৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরের জন্য কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে ২০২১ সালে কোম্পানিটি ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিলো। তার আগে ২০২০ ও ২০১৯ সালে কোনো লভ্যাংশ দেয়নি।

এদিকে চলমান হিসাব বছরের প্রথম ছয় মাসের ব্যবসায় কোম্পানিটি লোকসান করেছে। ২০২২ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসের ব্যবসায় শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৫ পয়সা।

উল্লেখ্য ২২ কোটি ২৯ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের এই কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ২ কোটি ২২ লাখ ৯৮ হাজার ৫৪৯টি। এর মধ্যে ২৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ আছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৫৭ দশমিক ৯০ শতাংশ শেয়ার আছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ১৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে