ঢাকা, শনিবার, ১১ জানুয়ারি ২০২৫

এমারেল্ডের কারখানা থেকে হারিয়ে যায় কোটি কোটি টাকার পণ্য

২০২৩ জুলাই ১২ ০৯:৩০:৩৫
এমারেল্ডের কারখানা থেকে হারিয়ে যায় কোটি কোটি টাকার পণ্য

স্টক সংবাদ প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এমারেল্ড অয়েলের কারখানা থেকে ১২ কোটি ৭৭ লাখ টাকার পণ্য হারিয়ে যায় বলে কোম্পানি কর্তৃপক্ষের দাবি। তবে এ বিষয়ে কোন মামলা বা জিডির কপি নিরীক্ষককে দেখাতে পারেননি।

কোম্পানিটির ২০১৬-১৭ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় এই তথ্য জানিয়েছেন নিরীক্ষক। যা সম্প্রতি ডিএসই প্রকাশ করেছে। যে কোম্পানিটির পরবর্তী বছরগুলোতেও নানা অনিয়মের কথা জানিয়েছিন নিরীক্ষক। যারমধ্যে ২০২১-২২ অর্থবছরের বিভিন্ন অনিয়ম স্টক সংবাদে তুলে ধরা হয়েছে।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, উৎসে কর ও উৎসে ভ্যাট নিয়ে অনিয়ম করেছে এমারেল্ড অয়েল কর্তৃপক্ষ। যে কোম্পানিটির ট্যাক্স বেজ এর বিস্তারিত না থাকায় ডেফার্ড ট্যাক্স দায়ের বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি নিরীক্ষক।

এই কোম্পানি কর্তৃপক্ষ স্থায়ী সম্পদের ক্ষেত্রে রেজিস্টার, আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার, ক্রয় মূল্য, সম্পদের ক্যাটাগির, পূঞ্জীভত অবচয় ইত্যাদি তথ্য রাখেনি। ফলে কোম্পানির প্রকৃত স্থায়ী সম্পদ কি পরিমাণ, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

কোম্পানিটির ব্যাংকে দেখানো টাকার বিষয়ে নিশ্চিত হতে নিরীক্ষক সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর শাখায় কনফারমার্শেন চিঠি দেয়। তবে শুধুমাত্র ইসলামী ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক থেকে প্রতিউত্তর করা হয়।

আরও পড়ুন....এমারেল্ড অয়েলে আর্থিক লেনদেনে অনিয়ম

কোম্পানিটির ২০১৭ সালের ৩০ জুন ১২৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকার দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেখানো হয়েছিল। যার পরিমাণ আগের বছরের একইসময়ে ছিল ৯০ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে ঋণ বেড়েছিল ৪২%। কিন্তু এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে ব্যাংকগুলোকে নিরীক্ষক চিঠি দিলেও তাতে সাড়া দেয়নি।

কাঁচামাল কেনা বিভিন্ন পার্টির কাছে ২০১৭ সালের ৩০ জুন দায় দেখায় ২৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। যা আগের বছরের থেকে ২১ গুণ বেশি। এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে পার্টিগুলোকে চিঠি দেওয়া হলেও শুধুমাত্র ৫জন প্রতিউত্তর করেছে।

এমারেল্ড অয়েলে ২০১৬ সালের ৩০ জুন ৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকার ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ড (ডব্লিউপিপিএফ) থাকলেও তা ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিতরন করা হয়নি। যে কোম্পানিটিতে শ্রম আইন অনুযায়ি স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য গ্র্যাচ্যুইটি নীতি পরিপালন করা হয় না।

কোম্পানিটিতে ঝুঁলে থাকা আয়কর মামলার জন্য কন্টিনজেন্ট দায় তৈরী হয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় প্রমাণাদির অভাবে তার সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।

এই কোম্পানিটির ২০১৭ সালের ৩০ জুন ১ কোটি ৬২ লাখ টাকার গ্যাস বিল বকেয়া ছিল। যার পরিমাণ ছিল আগের বছরের একইসময়ে ৬১ লাখ টাকা। অর্থাৎ বকেয়া বিল বেড়ে ২.৬৭ গুণ হয়ে গিয়েছিল।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া এমারেল্ড অয়েলের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৫৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা। এরমধ্যে ৬১.৭৪ শতাংশ মালিকানা রয়েছে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) হাতে। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) কোম্পানিটির শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ১৭৭.৬০ টাকায়।

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে