ঢাকা, রবিবার, ১২ জানুয়ারি ২০২৫

মাস্টার ফিডের শেয়ারহোল্ডারের টাকা-শেয়ার আত্মসাতের চেষ্টায় ফার্স্ট ক্যাপিটালের সিইও

২০২৩ জুলাই ২৪ ১২:৫২:৪৮
মাস্টার ফিডের শেয়ারহোল্ডারের টাকা-শেয়ার আত্মসাতের চেষ্টায় ফার্স্ট ক্যাপিটালের সিইও

দেশের শেয়ারবাজারে বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজের বিরুদ্ধে বিনিয়োগকারীদের টাকা আত্মসাতের প্রমাণ ও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এতে করে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমে যাচ্ছে। যা প্রতিরোধে নিয়ন্ত্রক সংস্থার তৎপরতার মধ্যেই ফার্স্ট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা (সিইও) মোঃ কাউসার আল মামুনের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত মাষ্টার ফিড এগ্রোটেক এর প্রয়াত পরিচালক রফিকুল আলম এর স্ত্রী উম্মে হাবিবা ইয়াসমিনের শেয়ার ও টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে।

এ নিয়ে প্রতিকার চেয়ে সোমবার (২৪ জুলাই) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি দিয়েছেন উম্মে হাবিবা।

চিঠিতে উম্মে হাবিবা ইয়াসমিন বলেছেন, গত বছরের ১৫ জুলাই আমার স্বামী (মাস্টার ফিডের প্রয়াত পরিচালক) মৃত্যুবরণ করেন। ফলে আদালতের রায়ে উত্তরাধিকার সার্টিফিকেট অনুযায়ী স্বামীর মোট শেয়ারের ২৫% বা ১৭,৬২,৫০০টি শেয়ার পান তিনি। যা নিজের নামে নিতে ফার্স্ট ক্যাপিটেল সিকিউরিটিজের মতিঝিল শাখায় একটি বিও অ্যাকাউন্ট হিসাব খুলেন। যার বিও আইডি নং ১২০৪৪৩০০৭৫৮৭৪৯৪৯। পরবর্তীতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এর অনুমোদনক্রমে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরিবাংলাদেশ লিমিটেড এর মাধ্যমে ওই বিও হিসাবে শেয়ার স্থানান্তর করা হয়।

এরপরে পর্যায়ক্রমে শেয়ার বিক্রি করে ও বিভিন্ন তারিখে ফার্স্ট ক্যাপিটালের সিইও মো: কাউসার আল মামুনের অনুমোদনের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করেন উম্মে হাবিবা। এক্ষেত্রে গত ১৪ মে থেকে ১৮ মে পর্যন্ত সময়ে ১ কোটি ১৮ লাখ টাকা উত্তোলন করেন তিনি। কিন্তু এরপরে অজ্ঞাত কারনে সিইও কাউসার উম্মে হাবিবার পরিচয় নিয়ে অহেতুক বিভিন্ন রকম অযুহাত তৈরি করে টাকা প্রদানে বিলম্ব করার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ করেছেন উম্মে হাবিবা।

এর ধারাবাহিকতায় উম্মে হাবিবা গত ১৭ জুলাই তার বাবা, পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি দেওয়া মো: আবুল বাসার এবং মাস্টার ফিডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ কবীর হোসেনকে নিয়ে ফার্স্ট ক্যাপিটালে যান। শেয়ার বিক্রয়ের টাকা প্রদান করতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণ জানতে চাইলে মো: কাউসার আল মামুন তাদের সবার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।

কাউসার আল মামুন ওইসময় উম্মে হাবিবার পরিচয় নিয়ে বার বার সন্দেহ করেন বলে চিঠিতে জানানো হয়েছে। এমনকি তিনি বলেন, আপনি উম্মে হাবিবা ইয়াসমিন না এবং আপনার সাথের ব্যক্তি আপনার পিতা নন, এগুলো সব সাজানো নাটক। তখন তাকে প্রমাণ হিসেবে সব কাগজ প্রদান করে মিলিয়ে দেখতে বলেন উম্মে হাবিবা। কিন্তু মো: কাউসার আল মামুন কোন ভাবেই প্রমান করতে রাজী হননি এবং অপমানজনক ও কুরুচিপূর্ণ ভাষা ব্যবহারের মাধ্যমে হেনস্থা করেন।

চিঠিতে উম্মে হাবিবা আরও বলেন, ফার্স্ট ক্যাপিটালের সিইও এর আচরন কাম্য ছিল না। যা উনার সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে দেখলেই প্রমাণিত হবে। একইসঙ্গে তিনি কমিশনে প্রমাণ হিসেবে রফিকুল আলম এর মৃত্যু সনদ, আদালতের উত্তরাধিকার আদেশ, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এর অনুমোদন কপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি, ফান্ড রিকুইজিশন স্লিপ এবং রফিকুল আলম ও উম্মে হাবিবা ইয়াসমিনের কাবিন নামার কাগজ জমা দিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফার্স্ট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা (সিইও) মোঃ কাউসার আল মামুন বলেন, আমি কোন মন্তব্য করব না এ বিষয়ে। যা বলার বিএসইসি ও ডিএসইকে জানিয়েছি। উনারা যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই মেনে নেব।

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে